Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুলাই ২০১৭

এনজিওদের কাজের মধ্যেও স্বচ্ছতা জরুরী - মেহের আফরোজ চুমকি, এম.পি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।


প্রকাশন তারিখ : 2017-07-06

 

ঢাকা, ০৫ জুলাই, ২০১৭

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের  সোনার বাংলা গঠন ও এসডিজি বাস্তবায়নে জিও এবং এনজিওর সমন্বয় খুবই জরুরী।  ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এনজিওদের  ও দায়বদ্ধতা আছে। সরকারের অর্থায়নে যে সকল এনজিও কাজ করছে  তাদের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে । তারা তাদের কাজের জন্য  জনগনের  কাছে দায়বদ্ধ। তিনি আজ সকালে  মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে মাল্টিপারপাস রুমে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার  সহয়তা তহবিল কর্মসূচীর  অধীন যে সকল এনজিও মাঠপর্যায় কাজ করে  তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাহমুদা শারমীন বেনু। এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এবং অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক একেএম মিজানুর রহমান এবং অতিরিক্ত পরিচালক শাহ নেওয়াজ দিলরুবা।  

 

সভায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহয়তা তহবিল কর্মসূচীর অধীন যে সকল এনজিও মাঠপর্যায় কাজ করে  তাদের  প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিশু। শিশুরা জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে যথাযথ ভাবে সুরক্ষা করা গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। একটি সুস্থ মা’ই পারে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে। শূন্য থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশুর ৮০ শতাংশ বিকাশ সাধিত হয়। শহরাঞ্চকলের কর্মজীবী দরিদ্র মায়েরা যাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে সে জন্য কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহয়তা তহবিল কর্মসূচী চালু করা হয়েছে।

 

নাছিমা বেগম এনডিসি এনজিও সমূহ কর্মজীবী মাকে যথাযথ ভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে কিনা সে বিষয়ে মনিটরিং করার জন্য জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন প্রয়োজনে স্কাইপি এর মাধ্যমে আমি সরাসরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মনিটরিং করব। মাহমুদা শারমীন বেনু প্রশিক্ষণ প্রদানে আরও সচেতন হওয়ার প্রতি আহবান জানান।

 

উল্লেখ্য আগে গ্রামাঞ্চলের হতঃ দরিদ্র মায়েদেরকে ভাতা প্রদান করা হতো কিন্তু শহরাঞ্চলে কর্মজীবী  মায়েদের কে কোন ভাতা প্রদান করা হতো না। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার  সহয়তা তহবিল কর্মসূচীর মাধ্যমে ২ লক্ষ কর্মজীবী  দরিদ্র মায়েদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের সব কটি সিটিকর্পোরেশন, জেলা সদর, উপজেলা সদর ও পৌরসভায় এ কর্মসূচী চালু আছে। এই কর্মসূচীর আওতায় প্রতি মাকে মাসে ৫০০/-টাকা করে দেয়া হয় এবং কর্মজীবী মায়েদেরকে মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাতৃদুগ্ধপান, সেনিটেশন, প্রজনন স্বাস্থ্য, টিকা, পরিবার পরিকল্পনা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এনজিওদের মাধ্যমে এ সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়।

 

 

        (মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮