Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ জুন ২০২২

"জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ এবং দুর্যোগ সম্পর্কিত সমস্ত নীতি জেন্ডার সংবেদনশীল করতে হবে" কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের মিনিস্ট্রিয়াল সভায় প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা


প্রকাশন তারিখ : 2022-03-16

ঢাকা ১৬ মার্চ, ২০২২:

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগের কারণে নারী ও মেয়েরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ  হয়। তবে নারীরা অভিযোজন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ এবং দুর্যোগ সম্পর্কিত সমস্ত নীতি জেন্ডার সংবেদনশীল হওয়া দরকার। এজন্য আমাদের অবশ্যই নারী ও মেয়েদের বিশেষ সুরক্ষা চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল রাতে (১৫ মার্চ) নিউইয়র্কে ৬৬তম কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের মিনিস্ট্রিয়াল রাঊন্ডের সভায় ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন। নিউইয়র্কের জাতিসংঘ ভবনে “Climate change, environmental and disaster risk reduction policies and programmes: advancing Gender equality through holistic and integrated actions from global to local” “জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নীতি এবং কর্মসূচি: স্থানীয় থেকে বিশ্ব পর্যন্ত সামগ্রিক এবং সমন্বিত কাজের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতাকে অগ্রসর করা” শীর্ষক তৃতীয় মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ড টেবিলে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ কোরিয়ার জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াং এ্যাই চুং (Young-ai Chung)।

 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১ অনুসারে, বাংলাদেশ ৭তম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যদিও বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান ০.৪৭% এর কম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৫ সদস্যের "জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের (CVF)" এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা COP-26-এ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থাকে সমর্থন করার জন্য অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।  

 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সংবিধানে পরিবেশ সুরক্ষা এবং লিঙ্গ সমতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপসহ বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা (১৪-২৬ মার্চ) ৬৬তম কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের তৃতীয় মিনিস্ট্রিয়াল রাঊন্ডের সভায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপ  উল্লেখ করে বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন এবং জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এর আলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা সহ অন্যান্য পরিকল্পনা মহিলাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছে। বর্তমানে ৩৮ হাজার নারী সাইক্লোন প্রিপারেডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) অধীনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।

 

তিনি আরো বলেন, নারীদের অভিযোজিত ক্ষমতা বাড়াতে, জীবিকার উপর লবণাক্ততার প্রভাব কমাতে এবং সুপেয় পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেন্ডার-সংবেদনশীল উপকূলীয় অভিযোজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা এসময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বনেতৃবৃন্দকে একসাথে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। 

 

৬৬তম কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের তৃতীয় মিনিস্ট্রিয়াল রাঊন্ডের সভায় গায়ানা, কেনিয়া, ফ্রান্স, এঙ্গোলা, ইন্দোনেশিয়া, তাঞ্জেনিয়া, তিউনিসিয়া,সুদান, স্পেন ফিলিপাইন্স, সৌদি আরব, মালদ্বীপসহ বিশ্বের তেইশটি দেশের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং প্রতিনিধি বক্তৃতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন।