Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ নভেম্বর ২০২০

“নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সরকার অত্যন্ত কঠোর”-- ম‌হিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফ‌জিলাতুন নেসা ইন্দিরা।


প্রকাশন তারিখ : 2020-11-26

 

ম‌হিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফ‌জিলাতুন নেসা ইন্দিরা ব‌লে‌ছেন, ‌নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। আমাদের সরকার নারী নির্যাতন বন্ধ, নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড’ এর স্হলে ‘মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড’ এর বিধান রাখা হয়েছে। সংশোধিত আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী ফ‌জিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আন্ত:মন্ত্রণালয়  ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা,  উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পূণর্গঠন করা হয়েছে। নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর মানবাধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, এই নির্যাতন ও সহিংসতা  বন্ধ করতে সরকারের সাথে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। তবেই সবার সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরণের নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

 

প্রতিমন্ত্রী ইউএন উইমেন প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারী বা প্রায় প্রতি তিনজনে একজন নারী তার জীবন পরিক্রমায় শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ঘটে আপনজনের দ্বারা। সহিংসতার স্বীকার ৪০ শতাংশের কম নারী সহায়তা পেয়ে থাকে। বিশ্বে মোট মানব পাচারের ৭২ শতাংশ নারী ও শিশু। তিনি আরো জানান, প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন বাল্য বিয়ের স্বীকার হচ্ছে করোনায় হেল্প লাইনে ফোন করার হার বেড়েছে ৫ গুন বেশী। ইউরোপের দেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনা নারী সাইবার ক্রাইমের স্বীকার হচ্ছে। তাই নারীর প্রতি সংঘটিত সব ধরনের নির্যাতন ও অপরাধ নির্মূল করার জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বতে , বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কমনওয়েলথ উন্নয়ন পরিচালক জুডিথ হারবার্টসন। স্বাগত বক্তব্য নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রামের পরিচালক দেন ড. আবুল হোসেন।

 

মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করা যাচ্ছে। নারী ও কন্যা শিশুর নির্যাতন বন্ধ করতে সরকার প্রচলিত বিভিন্ন আইনের সংশোধন ও নতুন আইন প্রণয়ন করেছে।  

বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের চলমান কার্যক্রমের সাথে কাজ করছে। ভবিষ্যতও এই ইস্যুতে জাতিসংঘ কাজ করে যাবে।

 

জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এবারের প্রতিপাদ্য  "কমলা রঙের বিশ্বে নারী, বাধার পথ দেবেই পাড়ি।" আজকের আলোচনায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, একশন এইডের নির্বাহী পরিচালক ফারাহ কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা সৈয়দ মো গোলাম ফারুক, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব উম্মে কুলসুমসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। আলোচকবৃন্দ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।