Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শিশুর বিকাশে বাংলাদেশ এগিয়ে -মেহের আফরোজ চুমকি, এম.পি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।


প্রকাশন তারিখ : 2017-09-15

 

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। তবে সব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানো সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনার শিশু কোথায় কার কাছে রাখছেন, কে নিরাপদ, কোথায় রাখা নিরাপদ, মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে কিনা তা অভিভাবকদের ভাবতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে ‘শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও প্রতিকূলতা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। ডিআরইউ’র গোলটেবিল লাউঞ্জে এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলো ‘ইউনিসেফ’।

ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের এডুকেশন সেকশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক এম শফিকুল করিম সাবু, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম সামাদ, ডিআরইউ সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ বেগম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিআরইউর সহ-সভাপতি আবু দারদা যোবায়ের, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের যে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়েছে তা কিভাবে পূরণ করবে বিশ্ব? আমরা চাই না, বিশ্বের একটি শিশুরও ক্ষতি হোক। আমরা ত্রাণ দিতে পারবো। কিন্তু শিশুদের মানসিক বিকাশে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে পারবো না।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্ত শিশুদের রাস্তা থেকে ফিরয়ে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। ‘আমরা পথে কোনও শিশু দেখতে চাই না। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। দেশে বর্তমানে জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ শিশু। এদের বিকাশ ঘটাতে পারলে এটি হবে সম্পদ।’

ইউনিসেফের এডুকেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গা এসেছে এর মধ্যে দুই লাখ শিশু। এসব শিশুদের মধ্যে এক লাখ শিশু আট বছর বয়সী। যাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রয়োজন। শারীরিক বিকাশের জন্য খাদ্য-পুষ্টি যেমন প্রয়োজন, তেমনি মানসিক বিকাশও প্রয়োজন।’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘শিশুদের ভ্রণ থেকে শিশুর মানসিক বিকাশের চিন্তা করতে হবে। শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।              


                                                ( মোহাম্মদ আবুল খায়ের )

  জনসংযোগ কর্মকর্তা

  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮