Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st জুন ২০২২

“পরিবারই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যা নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি ও ক্ষমতায়ন করতে পারে” কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা”


প্রকাশন তারিখ : 2022-06-20
কিগালি (রুয়ান্ডা),২০ জুন, ২০২২:
‘নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি করা অত্যন্ত কঠিন। পরিবার থেকেই নারীর নেতৃত্ব তৈরি ও নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে। কারণ পরিবারই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যা তাদের কন্যা ও বোনদের মাঝে নেতৃত্ব সৃষ্টি ও ক্ষমতায়ন করতে পারে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধী দলীয় নেতা নারী ও সংসদীয় উপনেতা নারী। যা বিশ্বে বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে নারী সচিব, বিচারক, মেজর জেনারেল, বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি ও জাতিসংঘের অধীনে বাংলাদেশের নারীরা শান্তি রক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশে মোট চুয়াত্তর জন সংসদ সদস্য আছে যার মধ্যে পঞ্চাশটি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া স্থানীয় সরকার পর্যায়ে বিশ হাজার নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধি রয়েছে।
আজ (২০ জুন সোমবার) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত ৩য় কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের প্রথম দিনে ‘উইমেন ইন লিডারশিপ: বিয়ন্ড নাম্বারস’ সেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব কথা বলেন। রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রুয়ান্ডার ফার্স্ট লেডি জেনেট কাগামে (Jeannette Kagame)। স্বাগত বক্তব্য দেন কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি (Patricia Scotland QC)।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, নারী নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বড় বাধা হলো সামাজিক বাধা ও সচেতনতার অভাব। নারী ক্ষমতায়ন হলে সমাজের সকলে উপকৃত হবে। কারণ নারীরা কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও সৎ। বিশ্বে যেসকল দেশে নারী সরকার প্রধান আছে, সেখানে নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুত হচ্ছে। বাংলাদেশ রাজনৈতিক দলে এক তৃতীয়াংশ নারী সদস্য রাখার নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কাজে নারীরা অনেক এগিয়েছে এবং চল্লিশ লক্ষ নারী গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করছে। যা রপ্তানী আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রথম দিনে ‘উইমেন ইন লিডারশিপ: বিয়ন্ড নাম্বারস’ সেশনে যুক্তরাজ্যের চেরী ব্লেয়ার ফাউন্ডশনের প্রতিষ্ঠাতা চেরী ব্লেয়ার ( Cherie Blair), দক্ষিণ আফ্রিকার সমবায় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী থেম্বেসাইল নকান্ডিমেং ( Thembisile Nkandimeng), যুক্ত্রাজ্যের এমপি হ্যারিয়েট ব্যাল্ডউইন ( Harriet Baldwin), নাইজেরিয়ার অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. মার্গি এনসাইন ( Margee ensign) ও কমনওয়েলথ লোকাল গভার্নমেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল লুসি স্লাক (Lucy Slack) ।
কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারী ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী ও প্রতিনিধিসহ পাঁচশত বেশী ডেলিগেট অংশগ্রহণ করছে।কিগালিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের প্রতিপাদ্য ডেলিভারিং কমন ফিউচার: ট্রান্সফর্মিং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি। এবারের সভায় ‘উইমেন ইন লিডারশিপ: বিয়ন্ড নাম্বারস, উইমেন’স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট: ব্রেকিং ব্রেরিয়ার্স’, ‘এনগেজিং মেন এন্ড বয়েজ: এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইমেন এন্ড গার্লস’, ‘জেন্ডার এন্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ: ইন্টার্যাকশন এন্ড অপারচুনিটিজ ফর প্রগ্রেস’ এবং হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট: বিল্ডিং গার্লস লিডারস ফর টুমোরো’ সেশন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১০ম কমনওয়েলথ উইমেন এ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং ও কমনওয়েলথ জেন্ডার এ্যাকশন প্লান মিটিং এ কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের প্রস্তাব করা হয় যা পরবর্তীতে কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরাম হিসবে গৃহীত হয়।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সেশন পরবর্তিতে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রদানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী ও চেরী ব্লেয়ার ফাউন্ডশনের প্রতিষ্ঠাতা চেরী ব্লেয়ারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় চেরি ব্লেয়ার বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির এমপি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ভাগ্নী ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক’র নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন ও বাংলাদেশকে যুক্ত্রাজ্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র হিসবে উল্লেখ করেন।