Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ August ২০১৫

হত:দরিদ্র নারীদের দারিদ্রতার চক্র থেকে বের করতে ডিজিটাল ক্যাশ ট্রান্সফার প্রোগ্রামের উদ্বোধন-মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2015-08-14

ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) উপকারভোগীদের দারিদ্রতার চক্র থেকে বের করতে মন্ত্রণালয় নতুন একটি প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি ওয়ার্ল্ড ফুড অর্গানাইজেশন ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভিজিডি উপকারভোগী হত:দরিদ্র নারীদেরকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে এবং তাদেরকে প্রশিৰণ দেয়া হবে। যাতে করে তারা এ অর্থ কাজে লাগিয়ে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পারে এবং দরিদ্র অবস্থা থকে বের হয়ে আসতে পারে।

প্রাথমিকভাবে ২১টি উপজেলায় ২১ হাজার ভিজিডি উপকারভোগী হত:দরিদ্র নারী এককালীন ১৫ হাজার করে এবং প্রতি মাসে ৩০ কেজি পুষ্টি চাল পাবে।এই পুুষ্টি চালের মধ্যে ৩টি ভিটামিন এবং ৩টি মিনারেল থাকবে।

আজ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর হাইস্কুল মাঠে   হতদরিদ্র নারীদের মাঝে এশিয়া ব্যাংকের সহায়তায় ডিজিটাল পদ্বতিতে  ক্যাশ ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্ব অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহিন আহমেদ চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, ওয়ার্ল্ড ফুড অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি মিজ ক্রিসটিনা রেডার, ডিএফাআইডি বাংলাদেশের প্রতিনিধি মি গ্রেহাম গেছ,  স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডল প্রমুখ।   

প্রতিমন্ত্রী বলেন এই সময় বলেন দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের দরিদ্র রেখে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করা যাবে না তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রকল্প চালু করেছেন। তিনি বলেন সরকার নারীদের শুধু খাদ্য সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব পালন করতে চায় না বরং তাদের দারিদ্রতা থেকে বের করে আনতে চায় তাই সরকার তাদেরকে এককালীন টাকা প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্রতার স্থায়ী সমাধান করতে চায়।

উল্লেখ্য, মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারা দেশে সাড়ে ৭ লাখ নারীদের প্রতিমাসে ৩০ চাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। উপকারভোগী নারীরা ২ বছর এ সহায়তা পান। ২ বছর পর আবার নতুন করে উপকার ভোগী নির্ধারণ করা হয়।

কিন্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই ভিজিডি উপকারভোগী নারীরা ২ বছর খাদ্য সহায়তা পেলেও তারা দারিদ্র অবস্থা বের হয়ে আসতে পারছে না।

তাই মন্ত্রণালয় নারীরা যাতে দারিদ্র থেকে বের হয়ে আসতে পারে এবং নিজেরা তাদের আয় বাড়াতে পারে সে জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা প্রদান ও জীবনমূখী প্রশিক্ষণের এই প্রোগ্রামটি হাতে নিয়েছে ।

প্রথম বছর ২১টি উপজেলায় এই কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে এবং পরবর্তীতে সারা দেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে। (বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ , ১৪ আগস্ট ২০১৫)

 

 

(মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোন ঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইল ঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮