ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০১৭
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, বাল্য বিবাহ বন্ধে সরকারের শক্তিশালী অবস্থান ও কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ কমে আসছে। ২০১৫ সালের বিআইডিএস এর জরিপ অনুযায়ী ১৫ বছরের নিচে বিয়ের শতকরা হার ছিল ২৩.৮ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে বিআইডিএস জরিপ অনুযায়ী তা কমে হয়েছে ১০.৭ শতাংশ। তিনি বলেন বাল্য বিবাহের মূল কারণ হল দরিদ্রতা । দরিদ্রতা নির্মূলে সকলকে একসাথে কাজ করার বিষয়ে তিনি আহবান জানান। তিনি আরও বলেছেন, দরিদ্র নির্মূল এই সরকারের প্রধানতম প্রাধিকার। তিনি আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপিএ আয়োজিত বাল্য বিবাহ নিরোধ কল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৭-২০৩০ চূড়ান্ত করণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এর সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের জেন্ডার ষ্পেশালিষ্ট রশনী বসু , ইউনিসেফ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রিপ্রিজেনটিটিভ সারাহ বোরডাস ইডি (Sara Bordas Eddy) ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের রিপ্রিজেনটিটিভ আইওরী কাতো (Iori Kato) প্রমুখ।
বাল্য বিবাহ নিরোধ কল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাল্য বিবাহ নিরোধ কার্যক্রমের ফোকাল পারসন ড. আবুল হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বাল্য বিবাহ নিরোধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধানতম প্রাধিকার। এই জন্য মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে।
সভায় নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন বিবাহের বয়স নিয়ে বিতর্ক করার কোন সুযোগ নাই। সরকার যদি বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে না চাইত তাহলে আইন করবে কেন। ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দিলে তা বাল্য বিবাহ হবে। এবং তা সম্পাদনের জন্য যারাই কাজ করবে সকলকে শাস্তি পেতে হবে। আইনের বিশেষ ধারা ও খুব সুস্পষ্ট এটা নিয়ে ভূল বোঝাবুঝির কোন সুযোগ নাই। বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে, বিধি ধারা নির্ধারিত, বিশেষ প্রক্রিয়ায়, অপ্রাপ্ত মেয়েদের সর্বোত্তম স্বার্থে, বাবা মায়ের সম্মতিতে এবং আদালতের নির্দেশে কেবল মাত্র এই আইন অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের নিচে কোন মেয়েকে বিবাহ প্রদান করা যাবে। এই ধারায় যে প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে তা হরহামেশাই ব্যবহার হওয়ার কোন সুরেযাগ নেই। এই খানে অনেক গুলি শর্ত পূরণ করতে হবে । কোন শর্ত বাদ দিয়ে এটা করা যাবেনা। এবং এই প্রক্রিয়া সরাসরি মনিটরিং করবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা । সভায় ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ এর প্রতিনিধি বৃন্দ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করার ঘোষনা দেন।
ড. আবুল হোসেন তার উপস্থপনায় বলেন বিবিএস ২০১৫ সালের জরিপ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে বিয়ের শতকরা হার ছিল ৬২.৬ শতাংশ। কিন্তু বিআই ডিএস ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ। এই জরিপ অনুযায়ী বাল্যবিবাহের পরিমান উল্লেখ যোগ্য হারে কমার প্রবনতা লক্ষ করা যায়।
( মোহাম্মদ আবুল খায়ের )
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮