Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ মার্চ ২০২১

"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের উচ্চপদে নারীর ক্ষমতায়ন ও পদায়ন করেছেন"--মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা


প্রকাশন তারিখ : 2021-03-10

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের উচ্চপদে নারীর ক্ষমতায়ন ও পদায়ন করেছেন। বর্তমানে আদালতে প্রায় দুই হাজার জজ আছেন, তারমধ্যে পাঁচ শতের অধিক নারী। বাংলাদেশে সচিব পদে নারী; মেজর জেনারেল নারী। আগে কখনো নারী এসপি ছিলো না, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে নারী এসপি নিয়োগ দিয়েছেন। দেশে ১৫ হাজার নারী পুলিশ রয়েছে, তার মধ্যে অনেকেই নারী পুলিশ কর্মকর্তা। মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউএনও পদে অর্ধেকের বেশি নারী কর্মকর্তা।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীরা রয়েছেন। বাংলাদেশে যারা বড় রাজনীতিবিদ বলে দাবি করেন তাঁদের দলে কিন্তু নারীদের এ ধরনের অবস্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারীরা আজ এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা পুরুষের সমান কিংবা তার চাইতেও বেশি যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। 

 

আজ বুধবার (১০ মার্চ) রাজধানীর হোটেলে সোনারগাঁওয়ে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন এর ৬৫তম সেশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সরকার ২০৪১ এর মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সকল আন্তর্জাতিক ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকার সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট গোল বাস্তবায়নে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ৫ নম্বর গোল সরাসরি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যাবিবাহ নিরোধ, নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সাথে সম্পৃক্ত। এমডিজি অর্জনের সাফল্যের মতো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবো। নারীর ক্ষমতায়ন, সমসুযোগ, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্রমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। 

 

প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সভায় এবছরের ড্রাফট এগ্রিড কনক্লিউশনের ওপর মতামতের জন্য এগারটি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও ব্র্যাকসহ দশটি এনজিওর প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে ৫টি দলীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে প্রতিটি দলের মধ্য থেকে মতামত উপস্থাপন করা হয়। মুক্ত আলোচনা পর্বে সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা প্রদান এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় সম্পৃকরণের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে বলেন গত এক দশকে নারীর অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান।

সভায় ইউএন ওমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনেটটিভ শোকো ইশিকাওয়া অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেল এর কমিশন অন দি স্ট্যাটাস অব উইমেন এর প্রতিপাদ্য বিষয়ে রিপোর্ট এবং খসড়া গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের বিষয়টির উপর পাওয়ার পয়েন্ট এ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আগামী ১৫-২৬ মার্চ কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন এর ৬৫তম সেশন অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড মহামারীর কারণে এবছর সেশনটি ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত হবে।