নারী পুর্নবাসন বোর্ড
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতনের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের পুর্নবাসনের জন্য ১৯৭২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন বোর্ড গঠন করা হয়।
বোর্ডের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম:
(ক) স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত নারী ও শিশুর সঠিক তথ্য আহরণের জন্য জরিপ কাজ পরিচালনা করা এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা;
(খ) যুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
বাংলাদেশের সংবিধান
তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।
বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন
১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদে “বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ১৯৭৪” পাশের মাধ্যমে নারী পুর্নবাসন বোর্ডকে বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা হয়।
ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম:
(১) দেশের সকল জেলা ও মহকুমায় নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা;
(২) নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা;
(৩) নারীকে উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডে নিয়োজিত করে প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা;
(৪) উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কাজে নিয়োজিত নারীর জন্যে দিবাযত্ন সুবিধা প্রদান করা;
(৫) যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের চিকিৎসা প্রদান করা; এবং
(৬) মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ নারীর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্যে বৃত্তিপ্রথা চালু করা যা বর্তমানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় “দুস্থ’ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল” নামে পরিচালিত হচ্ছে।
মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তর
১৯৮২ সালে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির আলোকে একই ধরণের কর্মসূচীর দ্বৈততা এড়ানোর জন্য প্রশাসনিক পুর্নবিন্যাস কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী-
(১) বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন,
(২) মহিলা বিষয়ক কোষ ও
(৩) জাতীয় মহিলা উন্নয়ন একাডেমীকে একীভূত করে ২৭-১২-১৯৮৩ তারিখে মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তর গঠন করা হয়।
পরিদপ্তরের উদ্দেশ্যঃ
সরকারের মহিলা উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।
বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিলুপ্ত
বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন (রদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অনুচ্ছেদ ২(২)অনুযায়ী বাংলাদেশ নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিলুপ্ত করা হয়।
বিলুপ্ত ফাউন্ডেশনের সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তরের নিকট ন্যস্ত করা হয়।
১৯৮৪ সালে দেশের বৃহত্তর ২২ টি জেলা এবং ১৩৬ টি থানা নিয়ে মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। জনবল ছিল ৯৭৭ জন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের ২৮-০৮-১৯৯০ তারিখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তরকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।
সমাজ কল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন
১৯৮৪ সালে সমাজ কল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গঠন
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন
১৯৯৪ সালের ০৫-০৫-১৯৯৪ তারিখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামকরণ করা হয়।