Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্য বিবাহ মুক্ত হবে-মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2017-01-15

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্য বিবাহ মুক্ত হবে। এই লক্ষ্যে সরকার আইনগত সংস্কারের পাশাপাশি নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নানামুখি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে এই সরকার অনেক সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ এখনও সর্বোচ্চ নেতৃত্বে নারীকে মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু বাংলাদেশ তা সম্ভব করেছে। নারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন  নিমণ মধ্য আয়ের দেশ।

তিনি আজ  দুপুরে রাজধানীর তোপখানার সিরডাপ মিলনায়তনে সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও, বাংলাদেশ (সিআইসি-বিডি) আয়োজিত এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

 ৫৬টি বেসরকারী ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়নে গঠিত সিআইসি-বিডি প্ল্যাটফরম-এর ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল  ২০১৬ সালের ৪ থেকে ৮ নভেম্বও সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৬৫তম সিডও অধিবেশনে অংশ গ্রহণ করে। এই প্রতিনিধি দলের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আজ এই সভার আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী  নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন মডেল উলেস্নখ করে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারী -বেসরকারীসহ তৃণমূল পর্যমত্ম সর্বক্ষেত্রে এখন নারীর উপসি’তি দৃশ্যমান। বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এখন এগিয়ে যাচেছ।

প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে  নারী উন্নয়নে সরকারী কার্যক্রমের অগ্রগতির বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিক সহায়তা  প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় স্মার্টফোনে ব্যবহারযোগ্য  মোবাইল অ্যাপস ‘জয়’ তৈরী করা হয়েছে। এই অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু কিংবা তাদের পরিবার ১০৯২১ এ তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএস প্রেরণ করতে পারবেন।

তিনি আর ও বলেন সিডো এর দুই ধারা প্রত্যাহার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের আগে সরকার দেশের সকল ধর্মীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করবে। কোন মতমতকে ১০০ শতাংশ উপেক্ষা করে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে এগিয়ে যাওয়ার গতি স্লথ হয়ে পরে। তাই সরকার জটিলতা সৃষ্টি না করেই নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপের সনদ সিডো-এর সংরক্ষিত দুই ধারা প্রত্যাহার করবে। যাতে দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি না হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের  সভানেত্রী আয়শা খানমের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত  ক্রিষ্টায়ান ফ’শ, ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ক্রিস্টিন সুসান হান্টার, ইউনিসেফের রিপ্রেজেন্টিটিভ এডওয়ার্ড বিজবিডার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য মো: নজরুল ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহি পরিচালক রঞ্জন কর্মকার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য নির্মূল ও নারী-পুরুষের সর্বাত্মক সমতা নিশ্চিত করতে সিডও সনদের ওপর থেকে সংরক্ষণ ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি জাতিসংঘের সিডও কমিটি প্রদত্ত সমাপনি অভিমত  ও সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার ও বেসরকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে এশটি জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ, বাসত্মবায়ন ও পরিবীক্ষণ একান্ত জ্রুরী বলেও উল্লেখ করেন তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘের নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ কমিটির বাংলাদেশের অষ্টম সাময়িক প্রতিবেদনের উপর প্রদত্ত সমাপনী অভিমত ও সুপারিশ সমূহে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিডো সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সংসদের গু্রুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সিডও কমিটি এই মর্মে অনুরোধ জানাচ্ছে,  যেন জাতীয় সংসদ বর্তমান সমাপনী বক্তব্য সমূহ এখন থেকে পরবর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষ্যেপ গ্রহণ করে।

 

 

            (মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮