সারা-দেশে-৪৮৮৩-টি-কিশোর-কিশোরী-ক্লাব-উদ্বোধন-করলেন--মেহের-আফরোজ-চুমকি

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

Text size A A A

Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd সেপ্টেম্বর ২০১৮

সারা দেশে ৪৮৮৩ টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব উদ্বোধন করলেন মেহের আফরোজ চুমকি

প্রকাশন তারিখ : 2018-09-23

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আজ সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পটি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদ্প্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৪৫৫৩ ইউনিয়ন ও ৩৩০ টি পৌরসভায় মোট ৪৮৮৩ টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে।

ইভটিজিং বন্ধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, জেন্ডার বেইজড ভায়েলেন্স প্রতিরোধে Sexual & Reproductive Health and Rights (SRHR) , জন্মনিবদ্ধন, বিবাহ নিবন্ধন,যৌতুক প্রতিরোধ, শিশু অধিকার নারী অধিকার, জেন্ডার ভিত্তিক বৈষম্য দূর, যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন প্রতিরোধসহ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিয়য়ে ক্লাবগুলোতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করা হবে। প্রতিটি ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। এর মধ্যে ২০ জন মেয়ে এবং ১০ জন ছেলে। তাছাড়া সকল ক্লাবের সদস্যরা বিভিন দিবস উদযাপন, খেলাধূলা, বই-ম্যাগাজিন, সংগীত, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, মুক্তআলোচনা, আন্ত কøাব প্রতিযোগিতা ও ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।

উদ্বোধনের সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ কিশোর-কিশোরী। বর্তমানে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৮০ হাজার যা মোট জনসংখ্যার ২১.৪%। দেশের এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে তাদেরকে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। পারস্পরিক সহমর্মিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন সামাজিক সমস্যা দূর করতে হলে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল মানসিক বিকাশের উপযুক্ত সময়।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ শিশু একমি[ডমীর চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কে.এম আলী আজম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিকাশ চন্দ্র সিকদার।

সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, কিশোর-কিশোরীরা ক্লাবের মাধ্যমে সৃজনশীল ও গঠনমূলক কর্মকান্ডে প্রশিক্ষণ গ্রহন করবে। এবং এর মাধ্যমে পরিবর্তনের ধারক বা চেঞ্জ এজেন্ট হিসেবে কিশোর-কিশোরী ও নারীদের প্রতি সহিংস আচরনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারবে। ফলে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দূর হবে।

সভাপতির তার বক্তব্যে বলেন, জেন্ডার ভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে ‘কিশোর-কিশোরীদের জন্য কর্মকৌশল গ্রহন করতে হবে। যাতে সমাজের প্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটে। ক্লাবের মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের সচেতন করে গড়ে তুলতে পারেব।

(মোহাম্মদ আবুল খায়ের )

জনসংযোগ কর্মকর্তা

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাঃ ০১৭১৬০৬৬৮৮৮।