মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ও মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। নারী অনেক সময় স্বেচ্ছায় পুরুষের প্রতি নির্ভরশীল হতে চায়। নির্ভরশীল হয়ে কখনও সমান অধিকার পাওয়া যায়না। তিনি বলেন অনেক শিক্ষিত মেয়ে ও বিয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষা-দীক্ষায় প্রফেশনে তার চেয়ে উঁচু পর্যায়ের পুরুষকে বিয়ে করে। এমনকি মেয়ের চেয়ে উচ্চতায় কম হলেও বিয়ে করতে চায় না। এতে করে নারী-পুরুষের নিয়ন্ত্রনে থাকার ইচ্ছাই পরোক্ষ ভাবে প্রকাশ করে। নারীদেরকে এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে আসতে হবে। কিন্তু পু্রুষ নারীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার চেয়ে কম যোগ্যতার মেয়েকে বিয়ে করে। প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ১৬ দিন ব্যাপী কার্যক্রমের উদ্ভোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি Mia Seppo, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি Iori Kato, ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি Shoko Ishikawa, ইউএস এম্বাসীর কনসাল জেনারেল Sharon Weler, প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধাকল্পে মাল্টিসেক্টোরাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয় আন্তর্জাতিক যত সনদ আছে বাংলাদেশ তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি বলেন প্রযুক্তির প্রসারের কারনে নির্যাতনের ধরন ও পাল্টেছে। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হেল্প লাইন (১০৯) বাংলাদেশের প্রতিটি নারীর কাছে পৌঁছাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন কতিপয় বিকৃত ও মানসিক রোগীর কারনে বাংলাদেশ আজ কলংকিত হচ্ছে। যে বাবা তার মেয়েকে ধর্ষন করে সে বাবা মানসিক রোগী । যে মানুষ ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষন করে সে মানসিক রোগী। এই সমস্ত মানসিক রোগীকে নিয়ে রিসার্চ করা দরকার। মিয়া সেপো বলেন নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষের অংশগ্রহন বৃদ্ধি করা জরুরী। এই বিষয়ে তিনি নারী নেত্রী ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ ২৫ নভেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষনা করে এবং ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ১৬ দিনের কর্মসূচি পালন করে । এই কর্মসূচির প্রতিপাদ্য হল : Orange the World : Leave No One behind. বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য- নারী আজ অগ্রসর -চায় সমতা জীবনভর ।
( মোহাম্মদ আবুল খায়ের )
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮