ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে প্রশিংসিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ইতোমধ্যে গ্লোবাল ইউমেন লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশ গ্রহন উল্লেখ যোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে নারী ক্ষমতায়ন এতদূর এগিয়েছে। কিন্তু কর্মজীবী মায়েদের শিশু সন্তানের দেখাশুনার অভাবে অনেক নারী চাকরী ছেড়ে দিচ্ছেন। নারীরা যেন তাদের সন্তানদের নিরাপদে রেখে নিজেরা কর্মে নিশ্চিন্তে মনোনিবেশ করতে পারে, সে জন্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শিশুর জন্যে দিবাযত্ন কেন্দ্র রাখতে আইন করা হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকার সারা দেশে ৯৮টি ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিধায় এ লক্ষ্যে বে-সরাকারি উদ্যেগে ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদানের জন্য ডে-কেয়ার আইন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনটি প্রনয়ন করা হলে লাইসেন্স করে যে কোন নারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডে-কেয়ার পরিচালনা করতে পারবে। তিনি আজ সাকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির যৌথ আয়োজনে ‘‘নারী ও শিশু সুরক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা’’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, গাজী টির্র্ভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, স্টিঙ্গার নিউইয়ার্ক টাইমস এর বাংলাদেশ চেপ্টার প্রধান জুলফিকার আলী মানিক প্রমুখ।স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম এর প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে, সমতা আনতে কাজ করছে সরকার। নারীরা শিক্ষায়, অর্থনীতিতে, সামাজিকভাবে পিছিয়ে আছে; তাই তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পুস্টি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ‘আমার ইন্টারনেট আমার আয়’ নামক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার এবং নারীদের উপার্জনক্ষম করতে লোন দেয়া হচ্ছে। সারাদেশের তৃণমূলের নারীদের তৈরী পণ্য বাজারজাত করতে ‘জয়িতা’ নামে একটি স্থায়ী বিপনন কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে। দেশের অন্তত ২ কোটি নারী যেন ঘরে বসেই আয় করতে পারে, এ লক্ষ্যে সরকার নারীদের ১৮ ধরনের ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছে এবং দরিদ্রতা বিমোচনে আমরা হত দরিদ্রদের জন্যে ভাতা দিচ্ছি।
সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু সুরক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে নারী ও শিশু নির্যাতিত হচ্ছে সেখানে অপরাধীকে তাৎক্ষনিক আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি অপরাধ সংগঠিত হওয়ার ঘটনাটি গনমাধ্যমে যতটা গুরুতের¡ সাথে প্রকাশ করা তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অপরাধি যে শাস্তি পায় তা প্রকাশের গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন অপরাধীর শাস্তিকে ব্যাপক ভাবে প্রকাশ করলে নতুন করে কেউ কোন অপরাধ করার সাহস পাবেনা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও গগুরুত্বপূর্ন ভূূমিকা রাখতে হবে বলে তিনি জানান। কর্মশালায় বিভিন্ন গনমাধ্যমের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করে।
(মোহাম্মদ আবুল খায়ের )
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোন ঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইল ঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮