ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০১৭
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি মাসে সারা দেশে ১০ লক্ষ হতঃ দরিদ্র নারীকে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করে এবং ৮ লক্ষ হতঃ দরিদ্র মাকে মার্তৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে । বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বর্তমান দেশে কোন খাদ্যাভাব নেই কিন্তু এখনও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এখনও বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। যার কারনে নারীরা এনিমিয়া রোগে ভূগছে, শিশুরা বামন বা খর্বাকৃতি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকার হতঃ দরিদ্র নারীদের মাঝে পুষ্টি চাল বিতরন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে দেশের ৩৫টি উপজেলায় পুষ্টি চাল বিতরন কার্যক্রম চলছে। পর্যাক্রমে সারা দেশে এ পুষ্টি চাল বিতরন সম্প্রসারন করা হবে। তিনি বলেন সুষম খাদ্য বিষয়ে আমাদের দেশের জনগনের ধারনা অপ্রতুল। এ জন্য সরকার প্রতিটি উপজেলায় একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আজ সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হেটেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পুষ্টি চালের কার্যকারিতা বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজ মাহমুদা শারমিন বেনু এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিজ ক্রিস্টা রাডের (Christa Rader) । পুষ্টি চালের কার্যকারিতা বিষয়ক গবেষনা প্রতিবেদন তুলে ধরেন আই সি ডি ডি আর বি ‘র নিউটিশন ও ক্লিনিকাল সার্ভিস বিষয়ের সিনিয়র ডাইরেক্টর ডা. তাহমিড আহমেদ।
( মোহাম্মদ আবুল খায়ের )
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮