Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st মার্চ ২০২০

মুজিব বর্ষে ৫০ লাখ নারীকে তথ্য - প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে


প্রকাশন তারিখ : 2020-03-01

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পরপরই সংবিধানে নারীর অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেন। আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কল্যাণকর বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রনয়ণ করেছে। এসময় তিনি আরো বলেন, মুজিব বর্ষে ৫০ লাখ প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত নারীকে তথ্য - প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান, সমতা প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য হ্রাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে চার বছর জাতীয় সংসদে নারী সংরক্ষিত আসন বন্ধ রেখেছিল ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি রাতের আধারে বাতিল করে দেয়। যার ফলে বাংলাদেশে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়।
আজ রবিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে আগামী ৯ থেকে ২০ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উদ্যোগে কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন এর ৬৪ তম অধিবেশনের মূল আলোচ্য বিষয় " Review and appraisal of the implementation of Beijing Declaration and Platform for Action" বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের ৬৪তম সভায় আলোচিত হতে যাওয়া বেইজিং প্লাটফর্ম ফর একশনের ফলাফল, নারীর অন্তর্ভুক্তিমুলক উন্নয়ন, শোভন কর্মপরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস, সহিংসতা প্রতিরোধ, সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সমতা অর্জন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া বেইজিং ঘোষণা পরবর্তী ২৫ বছরে দেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শোকো ইশিকাওয়া ও দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান। আজকের সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শীপা হাফিজা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মালেকা বানুসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করে। সভায় একজন কিশোরীও তরুন সমাজের পক্ষে বক্তব্য করে।