সংবিধানে নারীর সম-অধিকারঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭, ১৯, ২৮, ২৯-সহ বিভিন্ন ধারায় নারীর শিক্ষা, চাকরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টির বাধ্যবধকতা সন্নিবেশ করে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
নারী বিচারক নিয়োগঃ
পাকিস্তানি শাসনামলে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীদের অংশগ্রহণ আইন করে বন্ধ ছিল। মেয়েরা কখনো জজ হতে পারতেন না। স্বাধীনতার পর সে আইন পরিবর্তন করে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। চাকরির ক্ষেত্রে সর্বত্র মেয়েদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন।২০০০ সালের আগে উচ্চ আদালতে দেশে কোনো নারী বিচারপতি ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২০০০ সালের ২৮ মে মাসে উচ্চ আদালতে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পান নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বর্তমানে ২২ জন বিচারপতি আছেন। দেশের অধস্তন আদালতে মোট নারীবিচারকের সংখ্যা ৩৭৬ জন যা মোট বিচারকের প্রায় এক চতুর্থাংশ।