Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ অক্টোবর ২০২১

মাতৃত্বকাল ভাতা কর্মসূচী

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় দরিদ্র মা,র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি ও মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির তথ্য

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর অপর গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিটি পুষ্টি সমৃদ্ধ আগামী প্রজন্ম তৈরির লক্ষ্যে গ্রামীন এলাকার সাত লক্ষ সত্তর হাজার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভাতা প্রদান করছে। মাতৃগর্ভ অর্থাৎ শূন্য থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর পুষ্টির চাহিদা, মনো-সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের উপর গুরুত্ব দিয়ে এই ভাতা প্রদান কর্মসূচির রুপরেখা প্রনয়ন করা হয়েছে। কর্মসূচিটি মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, শীর্ণকায় ও খর্বাকার শিশুর সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত মানবসম্পদ তৈরিতে অবদানের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছর থেকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি শুরু করা হয়। বর্তমানে ৪২৬ টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান। এই কর্মসূচিতে একজন দরিদ্র গর্ভবতী মা প্রথম অথবা দ্বিতীয় যে কোন এক সন্তানের জন্য এই ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৩৬ মাস ৮০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছে। প্রতিমাসে ভাতা প্রদানের পাশাপাশি মা ও শিশুর পুষ্টি, শিশুর মনো-সামাজিক বিকাশ এবং বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশ বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে বছরে ৫ দিন অংশগ্রহন করছেন। এই কর্মসূচিতে সদর কার্যালয় থেকে অর্থবছরের শুরুতে বরাদ্দ প্রাপ্তির ভিত্তিতে ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ভাতাভোগী নির্বাচন করা হয় এবং তিনমাস অন্তর অন্তর ভাতা প্রদান করা হয়। বছরে একবার এনরোলমেন্ট, তিনমাস অন্তর ভাতা প্রদান, ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ভাতাভোগী নির্বাচন এবং প্রথম অথবা দ্বিতীয় যে কোন একজন সন্তানের জন্য ভাতা প্রাপ্তি এবং সর্বপোরি শহর ও গ্রাম এলাকায় একই ধরনের দুইটি কর্মসুচি থাকার কারনে এই সকল সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এর জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর থেকে দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি ও কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচিকে একীভূত করে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয় ৮ টি বিভাগের ৭ টি উপজেলা ও ৬টি বিজেঅএমই বিকেওএমই এর গার্মেন্টস কারখানায়। যা পূর্বতন কর্মসূচি দুইটির উন্নত সংস্করণ।

মা ও কর্মসূচিতে শিশু সহায়তা প্রথম ও দ্বিতীয় (দুইটি) সন্তানের জন্য ভাতা পেয়ে থেকেন। এই কর্মসূচিতে গর্ভবতী মা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও তথ্য আপার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে অথবা বাড়ী বাসে সেলফ ইনরোলমেন্ট করতে পারেন। প্রতি মাসে

মাসে এনরোলমেন্ট ও প্রতি মাসে মাসে ভাতা প্রদান করা হয়। এবং গর্ভবতী মায়ের এ এন সি কার্ড বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের মাধ্যমে আবেদনকারীর গর্ভ তথ্য যাচাই করা হয়। এই ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায়  বর্তমানে ৩৬ মাস ৮০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। প্রতিমাসে ভাতা প্রদানের পাশাপাশি মা ও শিশুর পুষ্টি, শিশুর মনো-সামাজিক বিকাশ এবং বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশ বিষয়ে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে নিয়মিত অংশগ্রহন করছেন। সরকারের জাতীয় সামজিক নিরাপত্তা কৌশল অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে ০ থেকেক ৪  বছরের মোট শিশুর অর্ধেক অর্থাৎ ৫০% কে এই  কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যার সম্বব্য সংখ্যা ৬৫ লক্ষ শিশু।

মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা –

# বয়স ২০-৩৫ বছর

# এন আই ডি কার্ড

# প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভবস্থা

# নিজ নামে পছন্দসই অনলাইন/মোবাইল ব্যাঙক একাউন্ট

# পারিবারিক মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা

 

মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা –

# বয়স ২০-৩৫ বছর

# এন আই ডি কার্ড

# প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভবস্থা

# নিজ নামে পছন্দসই অনলাইন/মোবাইল ব্যাঙক একাউন্ট

# পারিবারিক মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা

 

মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা –

# বয়স ২০-৩৫ বছর

# এন আই ডি কার্ড

# প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভবস্থা

# নিজ নামে পছন্দসই অনলাইন/মোবাইল ব্যাঙক একাউন্ট

# পারিবারিক মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা

 

 

 

 

 

মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা –

# বয়স ২০-৩৫ বছর

# এন আই ডি কার্ড

# প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভবস্থা

# নিজ নামে পছন্দসই অনলাইন/মোবাইল ব্যাঙক একাউন্ট

# পারিবারিক মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা

 

 

মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা –

# বয়স ২০-৩৫ বছর

# এন আই ডি কার্ড

# এ এন সি কার্ড

# প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভবস্থা

# নিজ নামে পছন্দসই অনলাইন/মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট

# পারিবারিক মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা

 

এই কর্মসূচিতে ২০২০ – ২০২১ অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দ ৭ শত ঊনচল্লিশ কোটি বিশ লক্ষ টাকা যা জাতীয় বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ১%  অং শ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ৩০%  অং শ

উভয় কর্মসূচিতে সঠিক ভাতাভোগী খুজে বের করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অধিদপ্তর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গিকার অনুযায়ী কর্মসূচিগুলোর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করে দিয়েছে যার ফলে পাওয়ার উপযোগী যে কোন ভাতাভোগী অনলাইনে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টারসমূহে গিয়ে নিজে আবেদন করতে পারেন তাছাড়া ও টোল ফ্রি নম্বর ৩৩৩ ও সরকারের এক সেবায় ফোন করে আবেদন করতে পারেন। পাশাপাশি অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ভাতাভোগীর অর্থ শতভাগ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিটুপি বা সরকার থেকে সরাসরি ভাতাভোগীর নিজস্ব হিসাব নম্বরে প্রেরণ করছে। কোন ভাতাভোগী ভাতা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হলে বা হয়রানির স্বিকার হলে অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং অতিদ্রুত প্রতিকারের জন্য একটি অভিযোগ

নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার প্রচলণ করা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা আরো দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে এদেশের অবহেলিতত নারী ও শিশুদের নিকট সরকারের ওয়াদা অনুযায়ী পৌছে দিতে পারব।