মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার সমতা বিধানের লক্ষ্যে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জয়িতা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও নব প্রতিষ্ঠিত ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নারী ও শিশুর উন্নয়ন তথা নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা, সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জয়িতা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও নব প্রতিষ্ঠিত ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নারী ও শিশুর উন্নয়ন তথা নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা, সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৭, ১৯,২৭, ২৮, এবং ২৯ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সম-অধিকার ও ক্ষমতায়ন এবং নারী ও শিশুর সুরক্ষার মাধ্যমে মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতনের শিকার নারীদের নিয়ে ১৯৭২ সনে “বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ড” গঠন করেন। ১৯৭৪ সালে এ বোর্ডকে “বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন” এ রূপান্তর করা হয়, যা পরবর্তীকালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। বঙ্গবন্ধু নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেন যা তাঁর দুরদর্শী সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে অন্যতম। তিনি কিশোরীদের নেতৃত্ব বিকাশ, দেশপ্রেম ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে “গার্লস গাইড এ্যাসোসিয়েশন”কে নতুন ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়নের আগেই ১৯৭৪ সালে শিশু আইন পাশের মাধ্যমে শিশুর অধিকার ও সার্বিক সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।