Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

সাইবার ক্রাইম নারী নির্যাতনের নতুন সংস্করন- মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2017-01-12

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, সাইভার ক্রাইম নারী নির্যাতনের নতুন সংস্করন । প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে সত্য। তবে সব কিছুরই দুইটি দিক থাকে , একটি ভাল দিক অন্যটি মন্দ দিক।  জোয়ারের সাথে কিছু খারাপ জিনিসও চলে আসতে পারে। আর সাইবার ক্রাইমও এমন একটি বিষয়। নারী ও শিশুরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হচেছন। সরকার এই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হলরুমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন (১০৯২১ নম্বরটি) সেন্টারের সম্প্রসারিত ইউনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হিমনিটি উইনথার (Mikael Hemniti Winther), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি নারীর ক্ষমতায়নের সারা বিশ্ব এখন এগিয়ে যাচেছ উল্লেখ করে বলেন, আর বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই, বরং এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে পু্রুষের পাশাপাশি নারীরা এখন এগিয়ে যাচেছ। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী নারীরা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সমাজে এগিয়ে যাচেছ উল্লেখ করে বলেন, সমাজে এখনও নারীরা নির্যাতনের শিকার হচেছন। নারী ও শিশু নির্যতন প্রতিরোধে এই হেল্পলাইন (১০৯২১) বিশাল ভুমিকা রাখছে।  মূল কথা হলো এই হেল্প লাইন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম একটি অংশ।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন জয় এ্যপস নারীর সুরক্ষার একটি আধুনিক অস্ত্র।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতায় ২০১২ সালের  ১৯ জুন  নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার অধিদপ্তরের ৮ম তলায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন  (বিটিআরসি) এই প্রকল্পের অনূকুলে ১০৯২১ নম্বরটি হেল্পলাইন নম্বর হিসেবে প্রদান করে।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ১০৯২১ নম্বরটি টোল ফ্রি ঘোষণা করেন। বাল্যবিবাহ বন্ধ, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে এই হেল্পলাইন সেন্টার প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত হেল্পলাইনের মাধ্যমে  মোট ২ লাখ ৫১ হাজার ৬২৩ জন নারী ও শিশুকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সময়ের সাথে চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমানে  হেল্পলাইটি সকলের নিকট সমাদৃত উলেস্নখ করে অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে ২০১৭ সালের মাধ্যমিক ও উ’’চমাধ্যমিক পাঠ্যপুসত্মকের কভারে ১০৯২১ হেল্পলাইন সন্নিবেশ করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন আরও জানান, নারী ও শিশুকে তাৎক্ষণিক সহায়তা  প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তা স্মার্টফোনে ব্যবহারযোগ্য  মোবাইল অ্যাপস ‘জয় তৈরী করা হয়েছে। এই অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু কিংবা তাদের পরিবার ১০৯২১ এ তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএস প্রেরণ করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপস জয় এর ব্যবহার এবং পাঠ্যপুসত্মকে ১০৯২১ সন্নিবেশ করায় হেল্পলাইনের ফোনের সংখ্যা অধিক পাওয়ায় ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

\

 

(মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫,

মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮