মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাড়ীর কাছাকাছি প্রাইমারী ও হাই স্কুল থাকলেও কলেজ অনেক দূর থাকে। এত দূরে গিয়ে কলেজে পড়তে অনেক সময় ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এই সমস্যার কারনে অনেক মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় এবং তাদের বিয়ে হয়ে যায়। এটাও বাল্য বিবাহের অন্যতম কারন। ছাত্রীদের এই সমস্যা সমাধানে প্রতিটি কলেজে শুধু ছাত্রীদের জন্য একটি বাস দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শুধুমাত্র বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেই হবে না, বাল্য বিবাহের কারন নির্ধারণ করে তার প্রতিকার করতে হবে। তিনি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘‘শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধকল্পে বাল্যবিবাহ বন্ধ’’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বগুড়ার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ডা. আমিনুল ইসলাম সহ স্থানীয় বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাংবাদিকবৃন্দ। ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন মহিলা ও শিশু বিষযক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি ও সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি।
এই সময় নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, বাল্য বিবাহ সম্পর্কে মেয়েদেরকে সচেতন করতে হবে। তাদেরকে বাল্যবিবাহ বিরোধী ক্যাম্পেইনে এম্বাসেডর হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। বাল্য বিবাহের কারন নির্ধারণ করতে হবে। দারিদ্রতার কারনে বাল্যবিবাহ হলে মেয়ে ও মেয়ের মাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে সেলাই মেশিন প্রদান করতে হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এই সমস্ত কিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে।
(মোহাম্মদ আবুল খায়ের)
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮