"লবণ ও পেয়াজ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে"
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জয়িতা নারীরা নিজেদের উদ্যোগ, ইচ্ছা ও সাহসের মাধ্যমে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সরকার নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে অগ্রযাত্রার জন্য জয়িতা কর্মসূচি শুরু করেছিল আজ তা দেশের ইউনিয়ন পর্যায় জাতীয় পর্যায়ের ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জয়িতা নারীরা আত্মপ্রতয়ী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম স্থান থেকে প্রথম উন্নীত হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সরকার যখন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা লবণ ও পেয়াজের মত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী কালোবাজারি ও গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লবণ ও পেয়াজ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ (২০ নভেম্বর) বুধবার রংপুরের আরডিএস অডিটোরিয়ামে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেসা। উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল আলীম মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন ও রংপুর বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব কামরুন নাহার বলেন, পাচটি ক্ষেত্রে নির্বাচিত জয়িতারা বাংলাদেশের নারী সমাজের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে ২০৩০ সালের এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
আজ রংপুর বিভাগের আট জেলার চল্লিশ জন জয়িতার মধ্যে থেকে পাচজনকে এই বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে লালমনিরহাটের আনোয়ারা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে গাইবান্ধার জিন্নাতুন ফেরদৌসী, সফল জননী নারী জয়িতা হলেন নীলফামারীর এজিয়া খাতুন। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে জয়িতা হয়েছেন রংপুরের মাহফুজা আক্তার মিতু ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় জয়িতা হলেন রংপুরের পীরগাছার রাজেকা খাতুন।